সোমবার, ৪ নভেম্বর ২০২৪ ১১:০৫ এএম
রাতে না ঘুমানোর অভ্যাস রয়েছে অনেকের। কেউ অফিসের কাজে, কেউ অকারণে রাত জেগে থাকেন। অনেকেই স্মার্টফোন হাতে নিতে ফেসবুক, টিকটক স্ক্রল করে, কেউ আবার মোবাইলে গেমস খেলে অনায়াসে রাত ৩টা-৪টা পর্যন্ত কাটিয়ে দেন। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীদের মধ্যে রাত জাগার প্রবণতা বেশি। বড়দের মত এখন বাচ্চারাও রাতে দেরি করা ঘুমায়। কিন্তু এই অভ্যাস শরীরের জন্য কতটা ক্ষতিকর তা জানেন না অনেকেই।
রাত ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে না ঘুমালে কী হয়?
রাত ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে না ঘুমালে বা ঘুম থেকে জেগে উঠলে সেরোটোনিন হরমোন কমে যায়। রাতে অর্থাৎ অন্ধকারে এই হরমোন বাড়ে। এটি মনকে শান্ত করতে ও ঘুমাতে সাহায্য করে।
এছাড়া এই হরমোন দ্রুত চোখের চলাচল (আরইএম) প্রভাবিত করে। যা ইলেক্ট্রোফিজিওলজিক্যাল, নিউরোকেমিক্যাল, জেনেটিক ও নিউরোফার্মাকোলজিক্যাল ভিত্তিতে ঘুমের ক্ষেত্রে একটি প্রধান ভূমিকা পালন করে।
পাশাপাশি ডোপামিন হরমোনের ঘাটতি হয়। ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় ও মস্তিষ্ক বিশ্রাম করতে পারে না। শরীরের বাকি অংশও বিশ্রাম পায় না। ফলে শরীর নিজেকে পরিষ্কার করতে ও পুনরায় চালু করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
এই সময় যারা জেগে থাকেন তাদের ঘুমের চক্র নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ কাজগুলো সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় না। অলসতা বাড়ে ও কাজে মনোযোগ কমে যায়। পাশাপাশি বমি বমি ভাব হয়, শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।
রাতের এই সময় না ঘুমালে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। চলুন জেনে নিই কী ধরনের অসুখ দেখা দেয়। উদ্বেগরাত জাগলে শরীরের উপর এক ধরনের চাপ পড়ে। এতে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় ও উদ্বেগের সমস্যা বাড়ে। তাই যারা নিয়মিত রাত জাগেন তাদের মেজাজের পরিবর্তন খুব দ্রুতই ঘটে।
উচ্চ রক্তচাপ
রাতে এই সময় না ঘুমালে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে অল্প বয়সেই উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট সংক্রান্ত রোগ দেখা দিতে পারে।
স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক
ঘুম কম হলে হার্টের সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের ক্ষেত্রে এর প্রভাব মারাত্মক হতে পারে। হঠাৎ করেই স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকও হতে পারে।
বিষণ্ণতা
অনিদ্রা হলে বিষণ্ণতা দেখা দেয়। কারণ, সেরোটোনিন বা হ্যাপি হরমোনের ঘাটতি হয়। এই সমস্যা দীর্ঘদিন থাকলে তা মানসিক রোগেও পরিণত হতে পারে।
খুব জরুরী প্রয়োজন না হলে রাত ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অবশ্যই ঘুমাতে হবে। যদি অনিদ্রাজনিত সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনতে হবে। বেশি সমস্যা হলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ, শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্রিয়া ঠিকমত না হলে দীর্ঘমেয়াদে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। তাই সুস্থ থাকতে দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।
সূত্র: প্রেসওয়্যার ১৮
ইটালিয়ান খাবার পাস্তা অনেকেরই এখন প্রিয়। ছোট-বড় সবাই পছন্দ করে। বিভিন্নভাবে রান্না করা যায় পাস... বিস্তারিত
দরজায় কড়া নাড়ছে ঋতুরাজ বসন্ত। পহেলা ফাল্গুনে বসন্ত বরণ করতে তাই ইতিমধ্যে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে। ... বিস্তারিত
যখন চারদিকে রোগের সংক্রমণ শুরু হয়, তখন প্রত্যেকের উচিত রোগ প্রতিরোধকারী খাবার বেশি বেশি খাওয়া। তে... বিস্তারিত
সৈয়দ মুনিরুল হক নোবেলঃ অন্যসব সভ্যতার মতো বাংলাতেও অনিবার্যভাবে প্রচলিত হয় বাংলা সন বা বর্ষ। নব... বিস্তারিত
বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইন মার্কেটেপ্লেস বা ই-কমার্স নিয়ে মানুষের মধ্যে বেশ নেতিবাচক মনোভাব জন্ম ... বিস্তারিত
মোঃ মিজানুর রহমান: বর্ষা শেষে প্রকৃতিতে অপূর্ব শোভা বর্ধন করে এসেছে শরৎকাল। কিন্তু সাম্প্রতিক স... বিস্তারিত
বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত। একইস... বিস্তারিত
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন দেশে আশ্রয় পেতে চলেছেন, ভারত সরকার এখনো তা জ... বিস্তারিত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানম... বিস্তারিত
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, আমরা অনেক পুলিশ সদস্য, অনেক সংখ্যালঘু মান... বিস্তারিত